জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য। রবিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এসময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তবে বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না।
তাদের পক্ষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন রুমিন ফারহানা।
এদের মধ্যে সংসদের হাজিরা খাতার সঙ্গে আবদুস সাত্তারের স্বাক্ষর মিলিয়ে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। আর হারুন অর রশিদ স্ক্যান করে পাঠানো স্বাক্ষর দেওয়ায় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
এর আগে, শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে দলের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন নিজেরাই এসেছিলেন। বাকি দুই জনের একজন অসুস্থ, আরেকজন বিদেশে।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ তরে স্পিকার বলেন, পদত্যাগপত্র সশরীরে এসে জমা দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন তাঁদের আসন শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুটি আবেদনের সই যাচাই করা হবে এবং তারাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কি না, সংসদ সচিবালয় তা খোঁজ নেবে। তবে হারুনুর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ইমেইলে, তাঁর সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। এটা গ্রহণ করা হবে না, তাঁকে আবার পদত্যাগপত্র দিতে হবে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।