কক্সবাজারের টেকনাফে শিক্ষার্থীসহ আটজনকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে অপহরণকারীরা জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
তবে পুলিশের ধারণা, এ ঘটনায় মাদক-মানব পাচারের লেনদেন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাজপুড়া পাহাড়ের ভেতর পানির ছড়া থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, সৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রোববার আমার এলাকার লোকজনদের ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। এর আগেও বেশ কয়েকবার স্থানীয় লোকজনকে পাহাড়ে ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপহৃত ৮ জনের কাছ থেকে প্রথমে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করছিল দুর্বৃত্তরা। পরে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা দাবি করছে। আমি প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবগত করেছি। সবাই চেষ্টা করছি কীভাবে অপহৃতদের উদ্ধার করা যায়।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, অপহরণকারীরা প্রতিনিয়ত ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছে। অপহৃতদের উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।