বহুল আলোচিত পুরান ঢাকায় দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নূর আলম লিমন নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে এতথ্য জানান।
গ্রেফতার লিমন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মীর ম. নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
ফজলুল হক জানান, গতকাল রোববার রাতে মোহম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এসময় সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামি লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
র্যাব জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কিছু ব্যক্তি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ ২১ আসামির মধ্যে লিমনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৭ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। নূরে আলমসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। অপর দুজনকে খালাস দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তারা খালাস পান।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার সময়ও নূরে আলম পলাতক ছিলেন বলে জানায় র্যাব। মামলাটি এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।