কাতার থেকে রোম হয়ে আর্জেন্টিনা পৌঁছেছে মেসির দল। স্থানীয় সময় রাত ২.২০ মিনিটে এজেইজার মিনিস্ট্রো পিস্তারিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে বিশ্বকাপজয়ীদের বহন করা বিমান। এরই মধ্য দিয়ে ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপের ট্রফি পৌঁছাল আর্জেন্টিনায়।
রোববার ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি পেলেন তার অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি।
মেসিদের স্বাগত জানাতে এবং বিশ্বকাপ ট্রফি এক ঝলক দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী। মেসি-ডি মারিয়াদের এমন সাফল্যে ফুটবল ভক্তদের ভিড় জমেছে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে। জয় উদযাপন করতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
সোমবার রাতে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর্জেন্টিনার উদ্দেশে রওনা দেন মেসিরা। যাত্রাপথে ইতালির রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে দেড় ঘণ্টার যাত্রাবিরতি ছিল।
ইতালিতে যাত্রা বিরতি শেষে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের বহনকারী বিমান বুয়েন্স আয়ার্সে পৌঁছায় স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ৩টায়। ইজিজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিবর্তে অ্যারোপার্কে তাদের বিমান অবতরণ করে।
ফুটবলের জাদুকর মেসি বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন। ডানহাতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে আর্জেন্টাইনদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করেন এলএম টেন। পাশেই ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
বিমানবন্দরে বেশি মানুষকে ভিড় করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষরা। বিমানবন্দরের বাইরেই সব আয়োজন। সমর্থকরা সেখানেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আনুষ্ঠানিকতা সেরে মেসি-ডি মারিয়ারা ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসেন রাত ৩টা ৩০ মিনিটে। সে সময় বাইরে হাজার হাজার মানুষ পতাকা নেড়ে, স্লোগানে স্লোগানে তাদের অভিবাদন জানায়। ক্লান্তি ভূলে তাদের অভিবাদনের জবাব দেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা।
বিমানবন্দর থেকে মেসিরা চলে যাবেন নিকটস্থ আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ট্রেনিং সেন্টারে। সেখানে তারা বিশ্রাম নিবেন মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত। এরপর ছাদখোলা বাসে করে রওয়ানা দিবেন আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওবেলিস্কের দিকে।
যেকোনো ক্রীড়ানন্দ উদযাপনের ঐতিহাসিক ভেন্যু এটি। সেখানেই মেসি-ডি মারিয়াদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। হবে আনুষ্ঠানিক উদযাপনও।
আর এই উদযাপনে যাতে দেশের সকলেই অংশ নিতে পারে সেজন্য দেশটিতে মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সেখানে ইতোমধ্যে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বিপুল উৎসাহে চলছে মেসিদের বরণ করার প্রস্তুতি।