আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। দেশটির উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
দেশটির মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার দেওয়া চিঠিতে আফগানিস্তানের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নারীদের প্রবেশাধিকার জরুরি ভিত্তিতে স্থগিতের নির্দেশ দেয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা স্থগিতে উল্লেখিত আদেশ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের বিষয়টি আপনাদের জানানো হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে চিঠিটি পোস্ট করা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি এএফপি, এপিসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক মঙ্গলবার তালেবানের এ সিদ্ধান্তকে ‘উদ্বেগের’ আখ্যা দিয়েছেন।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে শিক্ষাসহ জনপরিসরে নারীদের জায়গা ছোট হয়ে আসছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, সব আফগান, বিশেষত নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ন্যায্য সদস্য হওয়ার প্রত্যাশা করতে পারে না তালেবান।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে তালেবান বলেছে, ‘জাতীয় স্বার্থ’ ও ‘সম্মান’ বজায় রাখতে এমনটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। প্রথমে মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে তারা। এবার বন্ধ করে দিল নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
মাত্র তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে সময় নারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ওই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়, নারীরা উদ্ভিদ বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি এবং কৃষি বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে না। আর বিশেষভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো নারী সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ পাবে না।