বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগে উত্তরের জেলাগুলো মঙ্গাকবলিত ছিল। মানুষের অভাব ও দুর্দশা ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পলিসিতে উত্তরের সেই মঙ্গা এখন জাদুঘরে চলে গেছে।’
রোববার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনি মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা উত্তরবঙ্গের মানুষ ভাগ্যবান। বগুড়া থেকে ৬ লেনের রাস্তা রংপুর হয়ে বুড়িমারী যাবে। আরেকটি যাবে পঞ্চগড়। গোটা উত্তরাঞ্চল ৬ লেনের এক্সপ্রেস ওয়ের আওতায় আসবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ছুটাছুটি করা সড়কের মানুষ। সড়কেই থাকতে চাই। সড়ক দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখি। আর আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে সড়ক দেখি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা নারীদের অভিভাবক পরিচয়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আগে সন্তানের অভিভাবক পরিচয়ে শুধু বাবার নাম ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বাবার নামের সঙ্গে মা’র নামও যুক্ত করেছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি কিংবা শিশির বিন্দু নয় যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগের ভীত এতটা দুর্বল নয়। আওয়ামী লীগের সম্পর্ক এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনাই বাবার পাশে মায়ের নামের ব্যবহার শুরু করেছেন। তিনি মায়েদের সম্মান দিয়েছেন। তিনি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলের জন্য ৯ লাখ শীতবস্ত্র দিয়েছেন তিনি। আজ রংপুর বিভাগের ৯ জেলায় ২৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু পারেনি। কেননা তাদের আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। তাই আন্দোলনে কোনো জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। আছে শুধু তাদের নেতাকর্মী। বিএনপির সঙ্গে সময়মতো খেলা হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাদের সঙ্গে আমাদের ফাইনাল খেলা হবে। তাদেরকে এজন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে রাজনীতি করে কিন্তু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় না তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না, শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারে না। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থাকতে হবে।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহাজান খানসহ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামখসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।