ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওঠেনি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এটা নিয়ে কিছু জানতে চাননি।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইভিএম আমাদের তালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রীও এটি নিয়ে জানতে চাননি। এটা আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াধীন আছে। যদি এটা অনুমোদন না হয় তবে সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। এটা আমার আওতায় নেই।
জানা গেছে, আরো দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে ও ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেছেন, কাজের মান বাড়ান এবং খরচ কমান। কিন্তু খরচ বন্ধ করবেন না। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে যেখানে, যেভাবে আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে একনেক বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতি খুব খারাপ নয়। এক্ষেত্রে রিজার্ভ গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেটি স্থিতিশীল আছে।
তিনি বলেন, রপ্তানি থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসেছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। ফলে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া এ অর্থবছর ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিশ্বমন্দার ঢেউ বাংলাদেশে লাগবে না।