শিশু বিকাশ কেন্দ্রে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন প্রায় অর্ধশতাধিক অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশু-কিশোর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধানে চলছে শারিরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা। প্রায় বারো বছর আগে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হলেও এখন এর সুফল মানুষের মাঝে এখন ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে চিকিৎসা নিয়ে ১২ হাজারের অধিক শিশু এখন সুফল ভোগ করছে।
বিশেষায়িত এ চিকিৎসা কেন্দ্রে উত্তর অঞ্চলের ৯ জেলার শারিরিক ও মানষিক ভাবে পিছিয়ে যেমন, দেরীতে ঘাড় শক্ত হওয়া, দেরীতে বসা, দেরীতে কথা বলা, বয়সের সাথে বুদ্ধির বৃদ্ধি নাহওয়া, পড়াশোনায় অমনোযোগী, অতিরিক্ত চঞ্চল, ওঅটিষ্টিক শিশু কিশোররা নাম মাত্র ১০ টাকা খরচে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। প্রতিদিন কাজ এই কেন্দ্রে করছেন পাঁচ সদস্যের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ টিম।
রংপুর শিশুবিকাশ কেন্দ্রের চাইলল্ড হেল্থফিজিসিয়ান আব্দুল্লা আল মাসুদ বলেন, এ কেন্দ্রে প্রতিবন্ধিততা নিয়ে আসা যে কোন শিশিু কিশোরকে তার সকল ইতিহাস রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করি এবং চুরান্ত রোগ নির্নয় করি। প্রয়োজনীয় ব্যাম.থ্যারাপি অথবা সাইকোলেজিক্যাল এসেসমেন্টের জন্য পরামর্শ দেই। এ ছাড়াও অন্যকোন বিভাগের ফিজিক্যাল মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, চক্ষু, নাক, কান, গলা, মানষিক নিউরো সার্জারী সমন্বয়ে প্রয়োজন হয় সে বিভাগে রেফার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আহাদ শাহ বলেন, বলেছেন সঠিক ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব। চাইল্ড ফিজিসিয়ান তিনি প্রথমে শিশু টিকে দেখে এবং শিশুটির এফিলিপ্স বা খিচুনি থাকে তিনি সেই রোগের জন্য যে ঔষুধর দরকার তা তিনি প্রয়োগ করেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান জানান, অনেকে হাটতে পারছেনা,অনেকে কথা বলতে পাছেনা,এটা অথেনটিক সার হিসাবে শিশু বিকাশ কেন্দ্র হিসাবে চালু আছে। সঠিক ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ্য করা সম্ভব।