লাখো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বিরুদ্ধে । নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ২১ জানুয়ারি, এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নতুন এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেমকে হুমকির মুখে ফেলবে। ২২ জানুয়ারি, এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারকদের বাড়াবাড়ি রোধ করার জন্য বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে দাবি করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার। তবে আইনজীবীসহ অন্যান্য গোষ্ঠী এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি সমাজে এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গভীর রাজনৈতিক বিভাজন প্রশস্ত করেছে।
ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি উন্মোচন করেছেন নতুন ইসরায়েলি বিচারমন্ত্রী। এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েলের পার্লামেন্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলোকে বাতিল করা সহজ হবে।
সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের বিচারিক স্বাধীনতাকে পঙ্গু করবে, দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট করবে এবং ইসরায়েলের আদালত ব্যবস্থাকে বিশ্বাসযোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করবে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকার যদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সফল হয় তাহলে বুঝতে হবে ইসরায়েলি গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ এই সংস্কার বিচারিক নিয়োগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কঠোর করবে এবং সরকারি সিদ্ধান্ত বা নেসেটের মাধ্যমে প্রণীত আইনগুলোকে উল্টে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত করবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি আস্থা ভোটে পাস হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নেতানিয়াহু। আস্থা ভোটে পার্লামেন্টের ১২০ সদস্যের মধ্যে ৬৩ জন নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আর বিপক্ষে ভোট দেন ৫৪ জন।