কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ । এর প্রচলিত অন্য নাম আলুই । বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিন এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াতে ব্যাপকভাবে জন্মে এই উদ্ভিদ। এর গড় উচ্চতা প্রায় ১ মিটার এর ফুলের রঙ গোলাপি যা ১ সেমি. লম্বা হয়| এর শিকড় ছাড়া পুরো গাছ ঔষধি গুনে ভরপুর। ভেষজী গুনাবলীর জন্য অনেকে একে ‘ চিরতার ঔষধ ‘ বলে।
কালমেঘের গুণাগুন
১. পচা ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য এর পাতা ব্যবহার করা হয় এবং ক্ষত সারাতেও এর পাতা ব্যাপক কার্যকর।
২. রস কৃমি নাশক হিসেবে বেশ উপকারী।
৩. রক্ত আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে।
৪. পেটের হজম শক্তি বাড়ায়।
৫.ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৬ বহুমূত্ররোগীদের জন্য বেশ কার্যকর কালমেঘের ঔষধ।
মূখ্য উপকারিতা
জ্বর ,সর্দি ,কাশি: কালমেঘের পাতা যেকোন রকমের ঠান্ডালাগা জনিত রোগের নিরাময়ের জন্য বেশ উপকারি। এছারাও গলাব্যাথা , গলা বসে যাওয়া এবং টন্সিলের জন্য বেশ কার্যকরী ।কালামেঘের পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে রস করে খেতে হবে, এর স্বাদ তিতে , তাই এর রস খাওয়ার পরে এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন।
ডায়াবেটিস: রক্তে গ্লুকজের পরিমাণকে নির্দিষ্ট পরিমাপে রাখতে কালমেঘকে ডায়াবেটিসের অব্যর্থ ঔষধ বলা হয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ইহা সেবন করা উত্তম।
বাত ব্যথা: বাতব্যাথা দূর করার জন্য কালমেঘ খুব উপকারী । দৈনিক ২০-২৫ টি কালমেঘের পাতা রস করে খেলে বাত ব্যাথা সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
ক্যান্সার: ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে কালমেঘ অত্যন্ত উপকারী । কালমেঘের ঔষধি গুণ ক্যান্সারে কোষ বাড়তে দেয় না, ক্যান্সার রোগের ঔষধ হিসেবে কালমেঘ ব্যাবহার হয়।
আলসার প্রতিরোধক: কালমেঘের পাতার রস করে খেলে আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাছাড়া এর রস হজম শক্তি বাড়ায়।
অনিয়মিত মাসিক: অনিয়মিত মাসিক সমাস্যা সমাধানের জন্য কালমেঘের পাতার রস খবই কার্যকরী।
শারীরিক শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: কালমেঘের শিকড় ব্যতীত পুরো গাছটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইহা সেবনে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।