‘ভাল্লাগে’র পর এবার মুক্তি পেলো সুমি শবনমের গান ‘আইলসা লাগে’। গানটিতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছে নাট্যাভিনেতা নয়ন বাবু ও শায়লা সাথী। ৩০ জানুয়ারি, রাজধানীর মেট্রো লাউঞ্জে গানটির আনুষ্ঠানিক শুভমুক্তি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গানটির উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্যামল দত্ত বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এখন বিশ্বমন্দা চলছে। এসময়ে গানটি বাজারে আনা সত্যিই দুরূহ ব্যাপার। আমি সৃষ্টি মাল্টিমিডিয়ার সাফল্য কামনা করছি। গানটি আশা করি সবার ভালো লাগবে।
গানটির শিল্পী সুমি শবনম বলেন, ‘ভাল্লাগে’ গানটি পৃথিবীব্যাপী বাংলা ভাষা মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর আরেকটি ভালো গানের অপেক্ষায় ছিলাম। ছয় মাস সময় নিয়ে সৃষ্টি মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে আমার দ্বিতীয় ‘আইলসা লাগে’ প্রকাশ পেল। আমি আমার দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ কাজটি করেছি। আশা করছি আগের গানের মতোই এ গানটিও সবার ভালো লাগবে।
গানটির মডেল ও অভিনেতা নয়ন বাবু বলেন, আমি মিউজিক ভিডিও কম করি। গান পছন্দ হলেই করি। সুমি আপার এ গানটি আমার কাছে মনে হয়েছে বাংলা ভাষার মানুষের জন্য আরেকটি চমক। আশা করি কেউ নিরাশ হবেন না। আগের গানে কোঁকড়া চুলের লুকে দর্শক আমাকে পছন্দ করে। এবার ব্যতিক্রম আরেকটি লুকে আমাকে দেখা যাবে। আশা করি এ লুকটিও সবার ভালো লাগবে। আমি একেক গানে একেকটি লুকে আসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
গানটির কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এ গানটি ভাল্লাগে গানের মতোই সব দর্শক পছন্দ করবে। গানটি খুব যত্ন নিয়ে তিন দিনে শুটিং করেছি। আশা রাখি ২০২৩ সালের অন্যতম একটি কাজ হবে এ গান।
অভিনেত্রী শায়লা সাথী বলেন, আমি নাটক করলেও মিউজিক ভিডিও একদমই করা হয় না। এ গানটি শোনার পর ভালো লাগে। প্রচন্ড শীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পুরান ঢাকা, হাতিরঝিলে কাজটি করেছি।
গানটির গীতিকার ও সুরকার মোহাম্মদ আকরাম হোসাইন। সংগীত পরিচালনা করেছেন সজিব দাস। কোরিওগ্রাফি ও পরিচালনা করেছেন হাবিবুর রহমান। ক্যামেরায় ছিলেন সানি খান, সম্পাদনা ও কালার বিন্যাসে এস এম তুষার ছিলেন। আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন বাদল শহীদ, মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন দিগন্ত ওয়াহিদ।
মডেল হিসেবে নয়ন বাবু ও শায়লা সাথীর সঙ্গে গানটিতে অভিনয় করেছেন- আনোয়ার, বাদল শহীদ, খায়রুল আলম, বিজয় দত্ত, রাজু, সাইফুল, লতিফ খান, হেদায়েত উল্লা তুর্কি, বিজয়, আশরাফুল প্রমুখ।