বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা নতুন নয়। তবে পূর্বে এই ফুটবল উন্মাদনার খবর হয়তো মেসিদের কানে পৌঁছেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে কাতার বিশ্বকাপের মধ্যে বাংলাদেশের ভক্তদের উচ্ছ্বাসের খবর আর্জেন্টিনায়ও সাড়া ফেলেছিল।
এমনকি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি, দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনির কানেও পৌঁছে গিয়েছিল এখানকার আর্জেন্টাইন ফুটবলের উন্মাদনা। সেজন্য আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, দলটির কোচ স্কালোনি বাংলাদেশের ভক্তদের ধন্যবাদ দিয়েছিলেন।
আর এবার কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দেড়মাস পর আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন নিজ দেশের ওলে পত্রিকার সঙ্গে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ দু’বার গোল্ডেন বল-জয়ী মেসি জানান, ‘হ্যাঁ, আমি তাদের (বাংলাদেশের) সমর্থন দেখেছি। সব জায়গায় ১০ নম্বর জার্সি, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সোফি মার্তিনেজ (আর্জেন্টাইন সাংবাদিক) আমাকে দেখিয়েছিল। আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি এভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে দেখা, এটি সত্যিই দারুণ।’
এমনকি কাতারেও আর্জেন্টিনা প্রতিটি ম্যাচে প্রচুর দর্শক পেয়েছে। প্রতিপক্ষকে বলতে হয়েছে, গ্যালারির বিপক্ষেও খেলতে হবে। ওই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন লিও, ‘এমনকি বিশ্বকাপেও গ্যালারিতে আমরা প্রচুর দর্শক পেয়েছি। অনেক বিদেশি ভক্ত আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তারা যেভাবে স্টেডিয়াম জুড়ে ছিল, সেভাবে উৎসাহ দিয়েছে, এটা আমাদের সকলকে সংক্রমিত করেছিল।’
আর্জেন্টিনা প্রতি ম্যাচ জিতেছিল, আর বাংলাদেশি ভক্তদের হৈ হুল্লোড় হয়ে উঠেছিল আলোচনার বিষয়। আর্জেন্টাইন বেশ কিছু ফুটবল বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ সেসব ভিডিও শেয়ার করে।
একই সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমকে মেসি পরের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘বয়সের কারণে ২০২৬ সালে খেলা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি এবং যতদিন আমার মনে হবে ভালো অবস্থায় আছি এবং উপভোগ করছি, ততদিন খেলে যাবো। পরের বিশ্বকাপ হতে এখনও অনেক দিন বাকি, কিন্তু এটা নির্ভর করছে আমার ক্যারিয়ার কেমন চলছে তার ওপর।’