জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণে মোটরসাইকেল চালকদের খরচ আগের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বাইকে মাইলেজ কম পাওয়ার কারণে নিত্যদিনের পথ চলায় আয়ের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। তবে মাত্র কয়েকটি উপায় মেনে চলে বাইকের মাইলেজ বাড়াতে পারেন। এর ফলে জ্বালানি খরচ বেশকিছুটা কমবে।
১. মাইলেজ পেতে অবশ্যই নিয়মিত মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করতে হবে। আপনি বাইকের কতোটুকু যত্ন নিচ্ছেন, তার ওপর মাইলেজ অনেকটা নির্ভর করে। সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন ও চেইন লুব করুন। এ ছাড়া গিয়ার, ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্ট ঠিক রাখতে হবে।
২. অকটেন বা পেট্রোল যেটাই ব্যবহার করুন না কেনো, অবশ্যই ভালো মানের জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ভেজাল তেলের কারণে বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মাইলেজও কমিয়ে দেয়।
৩. বাইকের টায়ার প্রেসার ১৫ দিন পর চেক করুন। প্রয়োজনে হাওয়া ঢুকান। টায়ার প্রেসার কম থাকলে মাইলেজে কমে যেতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। কারণ বাতাসের দূষণ ও ধূলিকণার ময়লা জমিয়ে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে মাইলেজও কমে যায়।
৪. অযথা ক্লাচ চাপা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই হাফ ক্লাচ ধরে বাইক চালান। যা মোটেই ঠিক নয়। ক্লাচের ব্যবহার কম হলে মাইলেজও বাড়বে। এ ছাড়া অবশ্যই সঠিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। কম গিয়ারে বেশি স্পিড তোলার চেষ্টা করলে মাইলেজ কম পাবেন। ভালো মাইলেজ পেতে বাইকের স্পিডের সঙ্গে গিয়ারের সমন্বয় করাটা খুব জরুরি।
৫. বাইক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সিগনালে পড়লে বাইকের ইঞ্জিন অফ করুন। তা না হলে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি অপচয় হয়। একইসঙ্গে বাইকের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ওজন বহন করুন।
৬. বেপরোয়াভাবে বাইক চালানো থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই হুটহাট খুব বেশি গতি তোলেন, আবার কমান। এর ফলে বাইকের ইঞ্জিনের তো ক্ষতি হয়ই, সেই সঙ্গে মাইলেজেও প্রভাব পড়ে।