প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। এখানে দল মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ১৯৭১ সালে যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছে, বিজয় এনেছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।
বুধবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন।
৭৫-পরবর্তী সময়ে অবহেলিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে মুক্তিযোদ্ধা এই কথাটাই মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তারা যেন সম্মান পায় সেই ব্যবস্থা করেছি। জাতির পিতা যেমন তাদের সন্তানদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, নির্যাতিত মা-বোনদের জন্য একটা কোটা সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছিলেন, আমরা সরকারে আসার পর শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, তাদের সন্তান ও বংশ পরম্পরায় যারা আসবে তারাও যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
সরকারপ্রধান আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। ন্যূনতম ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা করেছি। তাছাড়া অনেকের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মানবেতর জীবন-যাপন করছে; এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করবে বা রিকশা চালাবে অন্তত আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন ক্ষমতায় তখন এটা হতে পারে না। সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর-বাড়ি তৈরি করেছি, জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধারা অন্তত মাথা উঁচু করে বলতে পারেন যে হ্যাঁ, আমরা মুক্তিযোদ্ধা, তাঁর সন্তানরা যেন বলতে পারেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এই সম্মানটা আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস হস্তান্তর করা হয়। এ বছর ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।