জাপানে সাত হাজারের বেশি নতুন দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দেশটি তাদের দ্বীপ পুনর্গণনা করেছে। এই গণনায় আগের চেয়ে সাত হাজারের বেশি নতুন দ্বীপের খোঁজ পাওয়া গেছে।
জাপানের ভূ-স্থানিক তথ্য কর্তৃপক্ষ (জিএসআই) সম্প্রতি নিজেদের অঞ্চলে জিজিটাল ম্যাপিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এতে নিজেদের এলাকায় ১৪ হাজার ১২৫টি দ্বীপের সন্ধান মেলে, যা আগের চেয়ে ৭ হাজার ২৭৩টি। ১৯৮৭ সাল থেকে বিদ্যমান সরকারি হিসেবের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
যদিও জিএসআই এই সপ্তাহে জোর দিয়ে জানায়, নতুন চিত্র জরিপ প্রযুক্তিতে অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়েছে। একই সঙ্গে পুরো মানচিত্রকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে দ্বীপের সন্ধান পেলেও জাপানের দখলে থাকা ভূমির সামগ্রিক অঞ্চলে কোনো পরিবর্তন হবে না।
যদিও জিএসআই এই সপ্তাহে জোর দিয়ে জানায়, নতুন চিত্র জরিপ প্রযুক্তিতে অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়েছে। একই সঙ্গে পুরো মানচিত্রকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে দ্বীপের সন্ধান পেলেও জাপানের দখলে থাকা ভূমির সামগ্রিক অঞ্চলে কোনো পরিবর্তন হবে না।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দ্বীপগুলো কীভাবে গণনা করা যায়, সে সম্পর্কে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি না থাকলেও এটি ৩৫ বছর আগে জরিপের মতো একই আকারের মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
জাপানের চারপাশে যে দ্বীপগুলো রয়েছে তা ওই অঞ্চলের বিতর্কিত স্থানগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত।
সেখানে রাশিয়ার অধীনে থাকা কুরিল দ্বীপকে নিজেদের বলে দাবি করছে জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত সেনারা এটি জাপানের কাছ থেকে দখল করেন।
তাছাড়া পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু দ্বীপ নিয়ে জাপান ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বর্তমানে জনমানবহীন এই দ্বীপটি জাপানের অধীনে রয়েছে। কিন্তু চীনও এই দ্বীপটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।