তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় করা ইউক্রেন-রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর হয়ে নিরাপদে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়লো।
শনিবার জাতিসংঘ ও তুরস্কের তরফে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
গতবছর জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। পরে নভেম্বরে আরও ১২০ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট মোকাবিলা করাই ছিল এই চুক্তির মূল লক্ষ্য।
শনিবার সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
জাতিসংঘ ও তুরস্ক শনিবার জানায় চুক্তিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তবে কতদিনের জন্য তা নির্দিষ্ট করেনি তারা। ইউক্রেন বলছে, এটি ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন এবং মস্কো শুধু ৬০ দিনের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে সম্মত হয়েছে।
তবে ইউক্রেন চেয়েছিল চুক্তির মেয়াদ নতুন করে আরও ১২০ দিনের জন্য বাড়াতে। কিন্তু রাশিয়া এতে রাজি হয়নি। উল্টো তারা হুমকি দিয়েছে, আবার যখন চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সময় আসবে তখন কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে। নয়ত মেয়াদ বাড়বে না।
গতবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর কৃষ্ণসাগর অবরুদ্ধ করা হলে বন্ধ হয়ে যায় শস্য রপ্তানি কার্যক্রম। ব্যাপক খাদ্যসংকট শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশে খাদ্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় বহুগুণ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ, রাশিয়ার খাদ্যপণ্য এবং সার বিশ্ব বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি বলেছেন, ইউক্রেন জাতিসংঘের সহায়তা কর্মসূচির জন্য প্রায় ৫ লাখ টন গম সরবরাহ করেছে। শনিবার তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণসাগর হয়ে রপ্তানি চুক্তি ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্বে খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে তারা। কমপক্ষে ২৬টি দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।