সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮৩ রানে জিতে সবচেয়ে বেশি রানে জয়ের কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় রেকর্ড রান (৩৪৯) রান করলেও বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়। প্রথম দুই ম্যাচে রেকর্ড গড়া বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জিতেছে ১০ উইকেটে। এর মাধ্যমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের পেসাররা এক ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছে।
দলীয় ১২ রানেই প্রথম শিকার ধরেন হাসান মাহমুদ। অপর ওপেনার পল স্টার্লিংকেও (৭) এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। এরপর আর নূন্যতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি আইরিশরা। ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদরা এতটাই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন যে, স্পিনারের প্রয়োজনই হয়নি। বাংলাদেশের পেস আক্রমণেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
৬৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৭৯ রানেই নেই ৮টি! সাকিব তো বোলিংই করেননি। নাসুম-মিরাজ করেছেন মোট ৪ ওভার।
এরপর সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ১০১ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান লরকান টাকারের। এই দুজন ছাড়া আইরিশদের কেউ দুই অংক ছুঁতে পারেননি। হাসান মাহমুদ ৩২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এছাড়া তাসকিন ২৬ রানে ৩টি আর এবাদত ২৯ রানে ২ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় নেমে নিশ্চিন্তে এবং কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাটিং করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং লিটন কুমার দাস। দুজনের ব্যাটেই দেখা গেছে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি। ফলে ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন। অপরাজিত থাকেন ১০ চারে ৫০ রানে। মাত্র ১৩.১ ওভারেই ১০ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪১ রানে।