বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার এ ঘোষণা দেন তিনি।
এমন এক সময় পুতিনের এই ঘোষণা সামনে এলো যখন পশ্চিমা এবং কিছু রাশিয়ান রাজনৈতিক ভাষ্যকার ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ায় সম্ভাব্য পরমাণু হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছেন।
এদিকে কবে নাগাদ পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হবে তা উল্লেখ করেননি পুতিন। তবে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্রের স্টোরেজ সুবিধার নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
পুতিন জানান, পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার হতে পারে এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এরইমধ্যে বেলারুশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিবেশী ও মিত্রদেশ বেলারুশ। এছাড়া বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনের বড় সীমান্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশ পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের সঙ্গে।
শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি উত্থাপন করে আসছিলেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বেলারুশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা দুই দেশ একই কাজ করবো বলে সম্মত হয়েছি।
ট্যাকটিক্যাল বা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের কোনো বৈশ্বিক সংজ্ঞা নেই। এটি মূলত ছোট পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং ডেলিভারি সিস্টেম যা যুদ্ধক্ষেত্রে সীমিত হামলার জন্য ব্যবহার হয়।
এগুলোর বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা হয় সাইজ, তাদের পাল্লা এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এগুলোর সীমিত ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে। এগুলো সাধারণ বোমা থেকে কিছুটা বড়।