ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার কমই আছে। স্বাস্থ্যের জন্য ডিম দারুন উপকারী। এ কারণে নিয়মিত ডিম খেতে বলেন পুষ্টিবদরা।
তবে দিনে অনেকগুলি ডিম খেলে শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ কারণে দিনে কয়টা ডিম খাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে নিশ্চিতে ডিম খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দিনে ১টি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে ১টার বেশি ডিম একদিনে খাওয়া ঠিক না। একটি ডিমের সাদা অংশে ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। তাই সুস্থ ব্যক্তিরা চাইলে দিনে ৩ থেকে ৪টা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে কোনও সমস্যা হয় না।
আজকাল অনেকেই নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। এই ব্যক্তিদের জন্যও প্রোটিনের উৎস হিসাবে ডিম হতে পারে আদর্শ। আসলে ডিমের প্রোটিন শরীর খুব সহজে গ্রহণ করে নেয়। ফলে পেশির সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরচর্চা করলে দিনে ১০টি বা তারও বেশি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার ওজন অনুযায়ী সঠিক সংখ্যাটি বলে দিতে পারবেন।
আমরাজানি কোলেস্টেরল রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া ঠিক নয়। তাই তারা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ১টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যেতে পারে। তবে এর বেশি খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সিদ্ধ করে খেলে তার সমস্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। অথবা চাইলে ননস্টিক কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে ডিমের পোচ করে খাওয়া যেতে পারে। তবে ডিম অর্ধ সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়া ঠিক না। অর্ধসিদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি জীবাণু থাকতে পারে। এর থেকে পেটের সমস্যা যেমন- ডায়ারিয়া, বমি হতে পারে।
অনেকের ডিম থেকে অ্যালার্জি হয়। তাদেরকে ডিম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।