আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে পরের দিন ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার ট্রেনের টিকিট যাত্রা শুরুর ১০ দিন আগে থেকে কেনা যাচ্ছে।
তবে রেলের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। রেলে আজ বিক্রি করা হবে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। ৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল পাওয়া যাবে ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের ঈদ যাত্রার টিকিট।
ঈদে ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ১৫ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৫ এপ্রিলের, ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের ফেরত যাত্রার টিকিট।
ঈদ উপলক্ষে আন্তর্দেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্দেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস—এই সাতটি ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে না।
ঈদুল ফিতরের আন্ত নগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট (১৭ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) শতভাগ অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে। টিকিট ক্রয়ের জন্য রেলওয়ে টিকেটিং ওয়েব পোর্টাল, ‘রেল সেবা’ অ্যাপ বা যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে।
অন্যদিকে ঈদ যাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিটও আজ থেকে পাওয়া যাবে।
ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে বিশেষ সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ সেবার বাস চলবে। আগামী রবিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ডিপোতে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। রাজধানীর মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বাস ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এদিকে বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, বাসের কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। কারণ, বাস মালিকদের মনিটরিং টিমের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করছে। এ ছাড়া প্রশাসনের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমেও টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ করা হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করা হবে।
