শুধু পথঘাটে নয়, ট্রেনে, বাসে এমনকি, ঘরোয়া আড্ডায়ও মোবাইল ঘেঁটে থাকেন অনেকে। এটিই এখন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। ফলে নানা ধরনের অসুখ হানা দিচ্ছে জীবনে। এমনই এক রোগ ‘টেক্সট নেক’।
সাম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৮ শতাংশ মানুষ এই অসুখের শিকার। ৩৫ শতাংশ এই অসুখের কথা জেনেও সচেতন নন। আর প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ এই রোগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
এই অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, ঘাড় এবং গলার হাড় ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তা চিরতরে ঝুঁকিয়েও দিতে পারে। শরীর কত ডিগ্রি সামনের দিকে ঝুঁকে আছে, তার উপর নির্ভর করবে ঘাড় ও গলা কতটা ওজন বইবে।
মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটার সময়ে ঘাড় মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি ঝুঁকে থাকে। এতে চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের উপর। দীর্ঘ দিন ধরে এমন চলতে থাকলে এক সময় সামনের দিকে ঝুঁকে যায় মেরুদণ্ড। ফলে ঘাড় বেঁকে যাওয়া, গলা এবং ঘাড় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার মতো মারাত্মক কিছু পরিণতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
মোবাইলের আবিষ্কারক নিজেই এই যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন। তাই সারাক্ষণ ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘাঁটতে নিষেধ করছেন মোবাইলের আবিষ্কারক কুপার। এতে নানা রকম বিপদ হতে পারে।
কুপারের মতে, ‘জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।’
আর চিকিৎসকরা বলছেন, এই অসুখ সারাতে হলে একটাই উপায়, তা হল মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানা। না হলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এ অসুখ থাবা বসাবে যে কোনো সময়।