চলছে মাঝারি তাপদাহ। প্রতিদিনই বাড়ছে এক-দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা। দিন-দিন তাপমাত্রার এতটাই বাড়ছে যে বাড়ির বাইরে পা রাখাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোনোর কারণে তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের শরীরেও। গরমের তীব্রতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি-
আর্দ্রতা বজায় রাখা: শিশুরা খেলাধূলা করতে ভালোবাসে। তাই গরমের দিনগুলোতে পানিশূন্যতার শিকার হতে পারে শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। সারা দিনে তারা যেন ২-৩ লিটার পানি পান করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পারলে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, বেলের শরবতও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে রাখুন:সূর্যের তাপ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশু যেন বাড়ির বাইরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে বিকেল ৫টার পরে তাদের বাইরে বেরোতে দিন।
সানস্ক্রিন মাখান: সানস্ক্রিন কেবল বড়দের জন্য নয়, ছোটদের জন্যও খুবই প্রয়োজনীয়। বড়দের তুলনায় ছোটদের ত্বকে অনেক বেশি র্যাশ পড়ে এবং সানবার্ন করে। তাই দিনের বেলায় শিশুদের শরীরের উন্মুক্ত জায়গাগুলিতে ভালো ভাবে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে তীব্র রোদে শিশুরা বাইরে বের হলে সঙ্গে যেন অবশ্যই টুপি বা ছাতা নিয়ে বের হয়।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নজর দেওয়া: এই গরমে শিশুদের হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। এই সময় পেটের অসুখ বেড়ে যায়। তাই এই সময় তাদের ফ্যাটযুক্ত কিংবা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত নয়। মৌসুমি টাটকা এবং সবুজ ফল ও সবজি শিশুদের খাদ্যতালিকায় রাখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমি খাবার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।
হালকা পোশাক পরান: গরমে সব সময় শিশুদের হালকা রঙের সুতির পোশাক পরানোই ভালো। এই ধরনের পোশাক কম তাপ শোষণ করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সুতির জামা পরলে গরমের কারণে ত্বকের সংক্রমণ হয় না।