প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল সবাই। একে তো গরম, তার উপরে আবার রমজান মাস। যেহেতু রোজা রাখার কারণে সারাদিন পানি পান করা হয় না, তাই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই এই গরমে কতটুকু পানি পান করা উচিত এ সম্পর্কে জানি না আমরা অনেকেই।
পুষ্টিবিদদের মতে, পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরে বহু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনিতে পাথর, দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলাসহ নানা জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা: এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ জানান, পানির অপর নাম জীবন। রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত করে পানি। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বা বিপাককে ত্বরান্বিত করে পানি।
এমনকি পানি শরীর থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দেয় ও জয়েন্টকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
পানি পান করার সঠিক পরিমাপ: একজন ব্যক্তির কতটুকু পানি পান করা জরুরি তা নির্ভর করে তার পেশা, ওজন, উচ্চতা ইত্যাদির উপর। তবে সাধারণ হিসেবে বলা যেতে পারে দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা আবশ্যক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের এই পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করতে হবে। তবেই এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
পানির বিকল্প: রমজান মাস হওয়ায় অনেকেরই সারাদিন পানি পান করা হয় না। তাই তাদের উচিত ইফতার থেক সেহরি পর্যন্ত বেশি পরিমাণে তরল খাবার ও পানি পান করা। পানির বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি রাখা যেতে পারে প্রতিদিন ইফতারে। এর মাধ্যমে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
এছাড়া মৌসুমী ফলের তাজা রস পান করা যেতে পারে। এতেও ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মিলবে, সঙ্গে তৃষ্ণাও মিটবে। তবে বাইরের কাটা ফলের জুস কিনে না খাওয়াই ভালো। এছাড়া গরমে চা, কফি কম পান করতে হবে।
রোগীদের জন্য পানি পানের পরামর্শ: কিডনির সমস্যা এবং হার্টের বিভিন্ন অসুখে যারা ভুগছেন তাদের পানি পান করতে হবে মেপে। সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে পানি পানের পরিমাপ ঠিক করতে হবে।