আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানির জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) প্রসিকিউটর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছে। ইমরান খানের আইনজীবীরা এটার বিরোধিতা করেছেন।
ইমরান খানের আইনজীবীদল বলছে, রিমান্ড বিবেচনা করার আগে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ৭০ বছর বয়সী খানকে কিভাবে গ্রেপ্তার করা হলো তা আগে দেখা উচিত।
শুনানি বর্তমানে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অর্থাৎ এখনই তার রিমান্ডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসছে না।
এদিকে ইমরান খানের পর তেহরিক-ই-ইনসাফের আরও এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার দলটির মহাসচিব আসাদ ওমরকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। ইমরান খানকে যে আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেও সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাউন্টার টেরোরিজমের কর্মকর্তারা ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বার রুমের বাইর থেকে আসাদ ওমরকে গ্রেফতার করে। সেখানে তিনি অন্য পিটিআই নেতাদের সঙ্গে ছিলেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগেই গ্রেফতার হওয়া ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন করা।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পরই পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কোয়েটায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
লাহোরে সেনানিবাসে হামলা চালিয়েছেন ইমরান খানের সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামাবাদ, পেশোয়ারসহ বিভিন্ন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।