সাতক্ষীরায় ধানকাটা শ্রমিক বহনকারী পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা বাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) ও জয়নগর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬)।
আহতদের মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী (১৯), সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মো. নেছার আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫০) ও একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে ইমন হোসেন (১৯) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তাপস কুমার দাস (৪০), শাহিদুল ইসলাম (৩৫), মামুন হোসেন (২৩), মো. শাহিন (২১) এবং শ্রমিকদের বাবুর্চি ফরিদা বেগম (৫০)। দুর্ঘটনায় আহত আরো ৯ জনকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আহত তাপস কুমার দাশ বলেন, ‘আমরা ২৪ জন শ্রমিক সাতক্ষীরা থেকে ধান কাটার জন্য শরীয়তপুর গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মজুরি হিসেবে পাওয়া ধান নিয়ে সোমবার রাতে একটি পিকআপ ভাড়া করে সাতক্ষীরা ফিরছিলাম। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পিকআপের হেলপার। আমরা নিষেধ করার পরও তারা গুরুত্ব দেয়নি। পথে ভোর পৌনে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা বাজারের কাছে পৌঁছালে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে। এতে আমরা ১৯ জন শ্রমিক কমবেশি আহত হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে আমাদের সদর হাসপাতালের নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার পর সুমন হোসেন মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে মারা যান আবুল হোসেন।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাশেদুজ্জামান সুমন জানান, আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে আনার পর সুমন হোসেন নামে একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে আবুল হোসেন মারা যান। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। আর পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিশ্বজিত কুমার আধিকারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।