তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে ৭০ হাজার ছেলেমেয়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। যা বিগত ১৪ বছর আগে বাংলাদেশের মাটিতে এ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ছিল না।
বুধবার দুপুরে সিংড়া উপজেলা হলরুমে বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩ বিভাগীয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমাদের কর্মক্ষম তরুণ-তরুণীর ক্ষমতা বেশি।
আমরা যদি তাদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। তারা বিদেশে গিয়ে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেকে দক্ষভাবে গড়ে তুলে বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবে। দেশের অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
পলক বলেন, সিংড়ার ৮৫ হাজার ছেলেমেয়েকে যদি দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। তাহলে আমাদের এখানে শেখ কামাল আইটি পার্ক, টেকনিক্যাল টেনিং সেন্টার, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০ হাজার ছেলেমেয়ে ট্রেনিং নেবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৬৪ হাজার প্রাইমারি স্কুল, ৩৫ হাজার হাই স্কুল, ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ২২০০ কলেজ, মাদরাসায় প্রায় ৫০ লাখ সব মিলে পাঁচ কোটি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিশ্বের খুব কম দেশ রয়েছে, যে দেশের জনসংখ্যা পাঁচ কোটি। আমাদের কর্মক্ষম ছেলেমেয়ে পাঁচ কোটি রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই পরিকল্পনা নিয়ে ২০১০ সালে আইসিটি বিষয়টিকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছেন। আমাদের ছেলেমেয়েদের অবশ্যই কম্পিউটার শিক্ষায় পড়াতে হবে।
সামনে এক লাখ ৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। সেখানে আইটি ট্রেনিংসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। স্মার্ট দেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে হবে। সে জন্য আমাদের দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠাবান হতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েদের সেই স্মার্ট নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে হবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডার ও মেন্টর ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন’র প্রেসিডেন্ট ইকবাল বাহার জাহিদ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সভাপতি নাজনীন নাহার, ই-ক্যাব’র সভাপতি শমী কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন প্রমুখ।