আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ভার্চুয়ালি বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলোচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে যাব।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচিত হয়েছিলো তা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর অবিশ্বাস আর সন্দেহে রূপ নেয়। কিন্তু ওই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যদি অব্যাহত রাখতে পারতাম আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি হয়নি। হয়নি বলে আমাদের এই অবিশ্বাস সন্দেহকে একটি ওয়াল তৈরি হয়েছিলো। এটা ভাঙা দরকার ছিলো। সেটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙেছেন।
দুই দেশের স্বার্থেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু সমাধান আছে তবে তা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ওপেন আছে। কিন্তু মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে এবং সম্পর্ক নষ্ট করলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারবো না। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য পিছিয়ে থাকবে।
এ সময় ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি সেভাবে বিনিয়োগ করেন তাহলে আমাদের দূরে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে আজকে আমাদের যে রোড কানেক্টিভিটি, রেল এই দুই বিষয়ে ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি অনেক এগিয়ে গেছে। এই ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যে উভয়ই লাভবান হচ্ছি। আমি ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই আমাদের দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে তারা (বিএনপি) নৈরাজ্য করবে, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, এটা তাদের পুরোনো স্বভাব। কাজেই যখন যেটাকে মোকাবিলা করতে হয়, সেই পরিস্থিতিই বলে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী করতে হবে বা তাদের দায়িত্ব কী। রাজনৈতিক যেকোনো বিষয় আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।