পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়াকে আরও জোরালো করেছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায় নির্বাচন কমিশনের।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিজেদের নীতি নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো আর স্পেকিউলেটরের (গুজব রটনাকারী) অভাব নেই। তাই বিভিন্নরকম বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। যে বক্তব্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দিয়েছেন, সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা চাচ্ছেন, সেটিকে আরও জোরালো করেছে।
ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না- এমন নীতি প্রণয়নের আগে সরকারকে গত ৩ মে জানিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
সরকার এ কথা এতোদিন কেন জানাল না এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন?
ড. মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তাকে একটি ‘অপূর্ব’ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি নতুন ভিসা নীতির কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে ব্লিনকেন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করতে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সরকার তাতে সহযোগিতা করবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারি ও বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ, এনজিও, আইএনজিও সবার সহযোগিতা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে এ বিষয়গুলো এসেছে। সেই সঙ্গে বলেছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ সেটাকে শক্তিশালী করতেই আমরা এটি করেছি। এটি বাংলাদেশের জন্য ভালো।
নির্বাচন নিয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়তি চাপ অনুভব করছে কী না-জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের কাজ করেছে। আমরা আমাদের কাজ করব।
উল্লেখ্য বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যে বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের ভিসার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে।