যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর হামলার ২২তম বছর আজ সোমবার। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। মোট ৪টি বিমান ছিনতাই করেছিল তারা।
দুটি বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে। একটি আঘাত হেনেছিল পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে এবং আরো একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলের একটি মাঠে।
হামলার পর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুইটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। ভবন দুইটিতে বহু মানুষ আটকা পড়েন। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
সুউচ্চ এই দুইটি টাওয়ার ভবনই ছিল ১১০ তলা করে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভবন দুটি ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। অন্যদিকে তৃতীয় প্লেনটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরের আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে।
এরপর ছিনতাই হওয়া চতুর্থ প্লেনটির যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি সকাল ১০টা ৩ মিনিটে আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে।
এই ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারান ২ হাজার ৯৭৭ জন মানুষ। নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এখনও ১ হাজার ১০৪ জনের পরিচয় মেলেনি।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই জনের সম্প্রতি পরিচয় জানা গেছে। নিহতের পরিবারকে অপেক্ষা করতে হল দীর্ঘ ২২ বছর। তাদের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। পরিবারের অনুরোধে নিহত পুরুষ ও নারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথাগত ডিএনএ পরীক্ষার বদলে ‘নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং টেকনলজি’ ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, ‘আশা করি স্বজন হারানো মানুষগুলো এই আশ্বাস পাবেন যে দ্রুত বাকিদের পরিচয় খুঁজে বের করা হবে।’
প্রতি বছর এই তারিখে নিউ ইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরো, যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ওই টুইন টাওয়ার, সেখানে এ দিন প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।
নিহতদের স্মরণে ৯/১১ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরে বার্ষিক আয়োজন ‘আলোতে শ্রদ্ধাঞ্জলি’র পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক সিটির আশেপাশে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।