১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। জাতীয় জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। দিনটিকে সামনে রেখে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সেজেছে এক ভিন্ন রূপে। রঙের প্রলেপে নতুনভাবে সেজে উঠছে স্মৃতিসৌধের আঙিনা। স্মৃতি সৌধকে ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজানোর জন্য দিন-রাত কাজ করছেন কয়েকশ কর্মী।মহান বিজয় দিবসে আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটরিং ব্যবস্থা।রাজধানী ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলো, সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজের ভবনগুলো সাজানো হয়েছে রঙ্গিন বাতিতে। শুধু সাভার নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোতে লাল-সবুজের আলোকসজ্জা।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার, ফুল দিয়ে সাজানো, আলোকসজ্জা এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন জানান, মহান বিজয় দিবস ঘিরে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে শুধু সাভার নয় আশেপাশের জেলাগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর বিজয়ের চেতনায় উদ্ভাসিত এই দিনটি নতুন প্রজন্মকে শেখাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।