দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগে রূপপুর প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য প্রকল্পে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানা এবং টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রুল জারি করে। রুলে বলা হয়, কেন দুদক এখনও বিষয়টি তদন্ত শুরু করেনি এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা জানাতে হবে।
দুদকসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, রূপপুর প্রকল্পের বাজেট থেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটম জড়িত। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছিল। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যে ভাগ হয়েছে।
এদিকে, গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও এই অর্থ পাচারের বিষয়ে প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা রূপপুর প্রকল্প ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।