ঢাকা , শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫ , ২২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দুয়ার খুলেছে চীন, দেশেই চিকিৎসার মান বাড়ানোর পরামর্শ টানা ৯ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ, কাল থেকে খুলছে সরকারি অফিস মুসলিমদের বিক্ষোভে উত্তাল ভারত বিয়ে করলেন শামীম হাসান ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠলো মিয়ানমার ইউক্রেনে রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত ১৮ দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা টিকটককে আরও ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত দেশের ভেতরের খেলায়ও হিজাব নিষিদ্ধের কথা ভাবছে ফ্রান্স ইউনূস-মোদি বৈঠক অনেক ফলপ্রসু হয়েছে: প্রেস সচিব মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ, বয়কটের মুখে সালমানের ‘সিকান্দার’ বিবাহবার্ষিকীতে নাচের সময় হার্ট অ্যাটাক, ওয়াসিমের মৃত্যু ইনজুরির কারণে শেষ ওয়ানডে থেকে ছিটকে গেলেন চ্যাপম্যান দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ২০১৫ সালের ছবি মোদিকে উপহার দিলেন ড. ইউনূস শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইলো বাংলাদেশ জীবিকার তাগিদে ফিরছে মানুষ, ভোগান্তিহীন যাত্রায় স্বস্তি বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস, সংসদে বিলের কপি ছিঁড়ে যা বললেন ওয়াইসি ১৫ ঘণ্টা পর অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

বঙ্গোপসাগরে 'হংকং' বানাচ্ছে ভারত

  • আপলোড সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে 'হংকং' বানাচ্ছে ভারত
ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গ্রেট নিকোবর দ্বীপে চীনের হংকং-এর আদলে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ট্রান্সশিপমেন্ট হারবার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং নতুন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন স্থানীয় পরিবেশ এবং উপজাতি গোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই প্রকল্পে প্রায় ১৬৬ বর্গকিলোমিটার জমি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে, যা মানে ৯ লাখের বেশি গাছ কাটা পড়বে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের ৮০ শতাংশ রেইনফরেস্ট এবং এর বাসিন্দা প্রায় ১৮০০ প্রাণী ও ৮০০ উদ্ভিদ প্রজাতি হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শোম্পেন উপজাতি গোষ্ঠীসহ বিচ্ছিন্ন উপজাতিদের জীবনযাত্রা বিলুপ্তির দিকে চলে যেতে পারে। 

নৃতত্ত্ববিদ অ্যানস্টিস জাস্টিন, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই দ্বীপে কাজ করছেন, বলেছেন, "এই প্রকল্প উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর জন্য মৃত্যু পরোয়ানার মতো। বহির্বিশ্বে টিকে থাকার ক্ষমতা তাদের নেই।" এই প্রকল্পের কারণে মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি থাকা দ্বীপপুঞ্জের বাস্তুতন্ত্র এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে দৈত্যাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং লবণাক্ত জলের কুমিরের মতো প্রজাতি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রকল্পটি পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে এবং এর ফলে উপজাতিদের "বিরক্ত বা বাস্তুচ্যুত" করা হবে না। তবে পরিবেশবাদী এবং বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রকল্পটির প্রকৃত প্রভাব সরকারের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

২০০৪ সালের সুনামির পর নিকোবারিজ উপজাতিদের বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল, যা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এবার এই প্রকল্পের ফলে শোম্পেন গোষ্ঠীর জন্য একই ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রকল্প পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ এর পরিবেশগত ও মানবিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে।

কমেন্ট বক্স