কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে এলাকা ছেড়ে ফেনী চলে গেছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা থেকে তিনি ফেনীতে চলে যান বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে।
পারিবারিক সূত্র ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বহু বছর আগে স্কুল কমিটির নির্বাচনের কারণে কানুর সঙ্গে জামায়াত সমর্থক আবুল হাসেমের বিরোধ ছিল। তারই লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। যদিও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সরাসরি তাদের দলের কর্মী নয়, তবে তারা জামায়াতকে সমর্থন করে থাকতে পারেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেনীতে এক নিকটাত্মীয়ের কাছে রয়েছেন কানু। মারধরে তিনি বেশ আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রশাসন যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তবে তিনি চৌদ্দগ্রামে ফিরে আসবেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, গতকাল রোববার উপজেলার পাতড্ডা গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।