আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২ হাজার ৪২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই সময়, বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করার পর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে এসেছিল ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু দেড় মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ পুনরায় ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত তিনটি ধরনের রিজার্ভের হিসাব রাখে। প্রথমত, বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়ত, আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি, যেখানে তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়। তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, যা বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু নিচে রয়েছে।
ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকার প্রয়োজন হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর সক্ষমতা রাখে।
করোনার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে একসময় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে এটি নিট রিজার্ভ হিসেবে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায় এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের মতো মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়ে। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্য আমদানির ডলার চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে থাকে, যা রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ।
পরে বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সংগ্রহ এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে রিজার্ভ পুনরুদ্ধার করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখা এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ করার ফলে রিজার্ভের এই উন্নতি হয়েছে।
Mytv Online