প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তারা উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার প্রস্তাবটিকে বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিহিত করেছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সভাটি ‘জনপ্রশাসন সংস্কারকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ আয়োজন করা হয়।
বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম বলেন, “শুধু কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, বরং সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।”
এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, “উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে।”
বিএএসএ’র মহাসচিব মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কারের নামে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, তা রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ জানান।
অনলাইন মাধ্যমে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা, এছাড়াও ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ শক্ত অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, “আলোচনা করে নেওয়া হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আমরা ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সম্মান দিতে চাই।"
এছাড়া দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিএম জাহাঙ্গীরও বক্তব্য দেন।