ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ , ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশবাসীর কাছে বিচার চাইলেন সিটি কলেজ অধ্যক্ষ ঝটিকা মিছিল: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্যসহ গ্রেফতার ১০ মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পরমাণু শক্তি কমিশনের সংবাদ সম্মেলন ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি হাইড্রোজেনভিত্তিক বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন মহানবীকে কটূক্তি করায় তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা হবে ডিএনসিসির সব নগর স্বাস্থ্য ও মাতৃসদন কেন্দ্রে এবার মালদ্বীপে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, শঙ্কিত ভারত বাংলাদেশ থেকে সেনাসদস্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব সিটি কলেজ দুই দিন বন্ধ ঘোষণা দোহায় বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়ানোর বার্তা দিলেন ড. ইউনূস ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা ভ্যাটিকানের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আগামী শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য তরুণদের গবেষণায় আগ্রহী করছে ‘ইয়াং রিসার্চার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ ডিবি হেফাজতে সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়: ডিএমপির দাবি পারভেজ হত্যা: ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ২ ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ বেসামরিক স্থাপনায় হামলা বন্ধে রাশিয়ার স্পষ্ট জবাব চাইলেন জেলেনস্কি সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে আরো ছয় মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পরিচয় : পরিণতি বিয়ে

  • আপলোড সময় : ২৮-১২-২০২৪ ০৯:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১২-২০২৪ ০৯:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পরিচয় : পরিণতি বিয়ে
বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় একই জেলার ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় প্রেম, অবশেষে হলেন একে অন্যের জীবন সঙ্গী।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্দোলনের প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমের পূর্ণতা দেন নিলয় ও আনিকা।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুধু নতুন বাংলাদেশ নয়, বরগুনায় একটি নতুন সম্পর্কের উন্মোচন হয়েছে নিলয় ও আনিকার। এ আন্দোলনে দেশের সহস্র মানুষ শহীদ হলেও দুজনে খুঁজে পেয়েছেন নিজেদের পছন্দের জীবনসঙ্গী। তবে দেশের স্বার্থে যেকোনো প্রয়োজনে আবারও সদা প্রস্তুত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে একত্রে থাকলেও গত ৫ আগস্ট থেকে দু’জনার ভালো লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ভালোবাসা প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রণয়ে রূপ নেয় তাদের প্রেম।একদিকে আন্দোলনের ফলে অনেকেই তাদের স্বজন হারিয়েছেন, অপরদিকে নতুন একটি পরিবারও গঠন হয়েছে। এমন প্রেম ও প্রণয়ের বিষয়ে জানাতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় নিলয় ও আনিকার।

ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই। যেখানে ওর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে অনেকেই বর্তমান নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে। এ ছাড়া অন্য একটি সংগঠন তাদের ব্যানারে নিলয়কে আন্দোলনে অংশ নিতে বললেও সে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই আন্দোলনে যুক্ত হয়। ওর ওপর দুর্বল হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে এমন সততা। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে আমার প্রতি আলাদা কেয়ার দেখে ওর প্রতি দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়। পরে ৭ আগস্ট আমাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন নিলয়।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিকা বলেন, আমরা এখনও শিক্ষার্থী। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে আমাদের একত্রে সফল হতে হবে। আমরা দুজনে একত্রিত থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এ ছাড়া এখনও নিষিদ্ধ সংগঠনের অনেকে বলে আমরা কীভাবে আন্দোলনে গেলাম। আমার কথা হচ্ছে যদি একটি দল অন্যায় করে, সে অন্যায়কে সাপোর্ট দেওয়া কি আমার দেশকে ভালোবাসা? অবশ্যই না। আমরা সবসময় নিরপেক্ষ থেকে দেশকে ভালোবাসব। কোনো দল অথবা বর্তমান যে সরকার রয়েছে তারাও যদি কোনো ভুল করে আমরা তারও বিরুদ্ধে যাব, শুধু মাত্র দেশের জন্য।

মীর রিজন মাহমুদ নিলয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এ কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে ওই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।বিশেষ কি কারণে আনিকাকে ভালো লেগেছে— জানতে চাইলে নিলয় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার যে সাহসিকতা ওর মধ্যে ছিল এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। ওই সময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে আন্দোলনে নেমে যে দেশকে ভালোবাসতে পারে সে মানুষকেও ভালোবাসতে পারে।

মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বরগুনা পৌরসভার আমতলারপাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা সরকারি ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

কমেন্ট বক্স
দেশবাসীর কাছে বিচার চাইলেন সিটি কলেজ অধ্যক্ষ

দেশবাসীর কাছে বিচার চাইলেন সিটি কলেজ অধ্যক্ষ