বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের সই করা এক প্রতিবাদলিপি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আনন্দবাজারের ২৭ ডিসেম্বরের প্রতিবেদনটি “উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ” শিরোনামে প্রকাশিত হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।
এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ সংক্রান্ত তথ্য ভিত্তিহীন ও বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত অযাচিত, আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য।
প্রতিবাদলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়, প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আনন্দবাজার পত্রিকা আইএসপিআরের কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই আচরণ প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আইএসপিআর গণমাধ্যমকে যথাযথ তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বলে, সেনাবাহিনী সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য প্রচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।