জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বর্তমান ঠিকানাই ভোটার এলাকা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ঠিকানা পরিবর্তন করলে ভোটার এলাকাও পরিবর্তিত হয়, যা নাগরিকদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিকানা পরিবর্তনে দুইবার ফি দিতে হয়, যা বাড়তি ঝামেলা তৈরি করে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি সেবা সহজীকরণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের উপায় প্রস্তাব করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদনকারীকে বিদ্যমান ও নতুন ঠিকানার দুই জায়গায় নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হয়। এতে প্রক্রিয়া ধীর হয়।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, আবেদনকারী কেবল নতুন ঠিকানার নির্বাচন অফিসে আবেদন করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দলিল যাচাই করে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আবেদন অনুমোদন করবেন। এতে পুরোনো ঠিকানার অফিসারের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। ফলে পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ হবে।
এছাড়া স্থানান্তরের সময় একবারেই ফি গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদনকারী পোর্টাল থেকে নতুন ঠিকানার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। সরাসরি অফিসে কার্ড সংগ্রহের প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক প্রিন্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নাগরিকদের সেবা সহজ করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। যেকোনো পরিবর্তনে কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন, তবে আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।”
নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এনআইডি সেবা আরও সহজ হবে। নাগরিকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং গতি আসবে।