সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনের জন্য কমপক্ষে চার বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল জোলানি। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
আসাদের পতনের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে মন্তব্য করলেন আহমেদ আল-শারা। আল আরাবিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিরিয়ায় নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরিতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর পরিবর্তন আনার জন্য আরও প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
আহমেদ আল-শারা আরও বলেন, ‘জাতীয় সংলাপ সম্মেলন আহ্বান করে এইচটিএসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ পরিবারের কয়েক দশকের শাসন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসানে সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দেয় এইচটিএস।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে আহমেদ আল-শারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সময় আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া এবং তারা আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক অভিন্ন স্বার্থে কাজ করা উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
আহমেদ আল-শারা ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের একটি দল চলতি মাসে দামেস্ক সফর করেছেন। ওই সময় তারা তাকে ‘বাস্তববাদী’ বলে প্রশংসা করে। একই সঙ্গে এইচটিএসের এই নেতার মাথার দাম ওয়াশিংটন যে ১ কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল, সেটি প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান।