মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপে চীনপন্থী মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ভারতীয় প্রভাব থেকে বেরিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে শুরু করেন। তিনি ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেন এবং চীন-সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য দেশটির বিরোধী নেতাদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা শুরু করে।
ওই আলোচনা থেকে একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা তৈরি হয়, যার মাধ্যমে মুইজ্জুকে উৎখাত করার চেষ্টা করা হয়। মুইজ্জুর নিজের দলের ৪০ আইনপ্রণেতাকে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেই সঙ্গে ১০ জন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনটি অপরাধী চক্রকে অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ৮ কোটি ৭০ লাখ মালদ্বীপি রুপি (প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার) সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যদিও ষড়যন্ত্রকারীরা মুইজ্জুকে অভিশংসনের জন্য যথেষ্ট সমর্থন জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়, ভারত শেষ পর্যন্ত তাদের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুইজ্জুকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলেও এটি ভারতের এবং চীনের মধ্যে চলমান কৌশলগত প্রতিযোগিতার একটি বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেইজিং এবং নয়াদিল্লির মধ্যে এশিয়া অঞ্চলের প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলমান তীব্র প্রতিযোগিতার আরও একটি স্পষ্ট চিহ্ন এটি।