ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আইএমএফের পরামর্শ: শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব চাঁদাবাজি বন্ধে মানববন্ধন, প্রস্তুতিকালে শ্রমিক দলের দুপক্ষের সংঘর্ষ বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্থিতিশীল পরিবেশে রয়েছে: নিকোলা বিয়ার রিজার্ভ চুরি: সিআইডিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শাহরুখের সঙ্গে হজ্জ পালনের ছবি ভাইরাল, তবে কি ধর্মান্তরিত হলেন গৌরী ওসি নেজামকে হেনস্থা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর সময় জানালো শিক্ষা বোর্ড পাকিস্তানে জার্মান কূটনীতিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট: প্রেস সচিব সচিবালয় গেটে শির্ক্ষাথীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট: খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ফের বুধবার কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট ও বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের আহবান হাসনাতের ‘ভারতকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালানোর ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছিল আ.লীগ সরকার’ ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো গোষ্ঠীর সাথে জড়িত শেখ রেহানার ছেলেমেয়ে: দ্য টাইমস রানবন্যার বিপিএলে অল্পে গুটিয়ে গেল ঢাকা হিমালয়ে সীমান্ত বিবাদ নিরসনে চীন-ভারতের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু কলকাতায় আটকে পড়া ২২০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন ফটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখা ব্যানার টানালেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত ৪৮ বলে ৮৬ রান করে তামিম বললেন বাউন্ডারি বড় করতে

বিদায়ী বছরজুড়ে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ

  • আপলোড সময় : ০১-০১-২০২৫ ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০১-২০২৫ ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন
বিদায়ী বছরজুড়ে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ

২০২৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা কঠিন ছিল। নির্বাচিত ও অন্তর্বর্তী সরকারও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হলেও, বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। রিজার্ভের পতন ঠেকানোর জন্য রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগ স্থবিরতা, এবং কর্মসংস্থানের অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

২০২৪ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ, ১১০ টাকা ডলার রেট এবং ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ সাধারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে। মূল চ্যালেঞ্জ ছিল নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে ভোক্তাদের স্বস্তি প্রদান। তবে সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে এটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। জুন-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারের পতন হলে, নতুন সরকারও এই সংকট সমাধানে সফল হতে পারেনি। এর মধ্যে পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতের সংকট আরও বাড়ে।

ব্যাংকখাতের সংকট সমাধান করতে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। রিজার্ভের পতন ঠেকানোর জন্য রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ানোর মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি হলেও, ডলারের দাম এক পর্যায়ে ১২০ টাকায় স্থিতিশীল হলেও, বছরের শেষে তা আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়। রফতানি আয় ও ইপিবি রিপোর্টের মধ্যে ফারাক নিয়ে আলোচনা ছিল, বিশেষ করে তৈরি পোশাকখাতের অবস্থান ছিল নাজুক। শ্রমিক অসন্তোষ ও চাকরি হারানোর ভয়ে শ্রম পরিস্থিতি খারাপ হয়ে ওঠে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন বিনিয়োগ আসেনি এবং বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে সীমাবদ্ধ ছিল। কর্মসংস্থান বাড়েনি এবং বিদেশে শ্রমিক রফতানি কমেছে। বিগত সরকারের আর্থিক লুটপাটের কারণে অর্থনীতির শ্বেতপত্রে এ সব তুলে ধরা হয়েছে। আইএমএফ ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও, পরবর্তী বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখা যাচ্ছে।


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
আইএমএফের পরামর্শ: শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব

আইএমএফের পরামর্শ: শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব