ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রবাসী ভোটারদের সেবা বাড়াতে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ এনআইডি ডিজির পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন মঞ্চে আজহারী, অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর ‘মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে’ তুরস্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত দুদক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, যোগাযোগের পরামর্শ মহাপরিচালকের নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ বিরোধীতা সত্ত্বেও ইমরান খানের নামে স্টেডিয়াম নামকরণের সিদ্ধান্ত ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষে সম্ভব : তারেক রহমান যখন কাউকে প্রয়োজন হবে, তখনই আপনি একা : পরীমণি আজহারুলকে মুক্তি না দিলে ৩ কোটি জামায়াত নেতা-কর্মী জেলে যেতে প্রস্তুত: শফিকুর রহমান ডিপিএলে নাম লেখাচ্ছেন সাকিব আল হাসান শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল কুড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ খিলগাঁও গ্যারেজপট্টির আগুনে পুড়ে ছাই ২৪ গাড়ি চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, দাবি পুলিশের মিরপুরে একাধিক দোকান ও বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্ব কাদের, জানালেন মির্জা ফখরুল বোনের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন প্রবাসী জেলেনস্কিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না ট্রাম্প মরুভূমি ভ্রমণের সময় তাঁবুতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় নিহত সৌদি দম্পতি

বিদায়ী বছরজুড়ে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ

  • আপলোড সময় : ০১-০১-২০২৫ ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০১-২০২৫ ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন
বিদায়ী বছরজুড়ে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ

২০২৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা কঠিন ছিল। নির্বাচিত ও অন্তর্বর্তী সরকারও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হলেও, বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। রিজার্ভের পতন ঠেকানোর জন্য রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগ স্থবিরতা, এবং কর্মসংস্থানের অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

২০২৪ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ, ১১০ টাকা ডলার রেট এবং ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ সাধারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে। মূল চ্যালেঞ্জ ছিল নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে ভোক্তাদের স্বস্তি প্রদান। তবে সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে এটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। জুন-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারের পতন হলে, নতুন সরকারও এই সংকট সমাধানে সফল হতে পারেনি। এর মধ্যে পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতের সংকট আরও বাড়ে।

ব্যাংকখাতের সংকট সমাধান করতে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। রিজার্ভের পতন ঠেকানোর জন্য রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ানোর মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি হলেও, ডলারের দাম এক পর্যায়ে ১২০ টাকায় স্থিতিশীল হলেও, বছরের শেষে তা আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়। রফতানি আয় ও ইপিবি রিপোর্টের মধ্যে ফারাক নিয়ে আলোচনা ছিল, বিশেষ করে তৈরি পোশাকখাতের অবস্থান ছিল নাজুক। শ্রমিক অসন্তোষ ও চাকরি হারানোর ভয়ে শ্রম পরিস্থিতি খারাপ হয়ে ওঠে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন বিনিয়োগ আসেনি এবং বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে সীমাবদ্ধ ছিল। কর্মসংস্থান বাড়েনি এবং বিদেশে শ্রমিক রফতানি কমেছে। বিগত সরকারের আর্থিক লুটপাটের কারণে অর্থনীতির শ্বেতপত্রে এ সব তুলে ধরা হয়েছে। আইএমএফ ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও, পরবর্তী বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখা যাচ্ছে।


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
প্রবাসী ভোটারদের সেবা বাড়াতে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ এনআইডি ডিজির

প্রবাসী ভোটারদের সেবা বাড়াতে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ এনআইডি ডিজির