ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাহবুবুল খালিদের কথা ও সুরে বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে ‘মাগুরার ফুল’ মুক্তি পেলো পদত্যাগ করবেন না বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আসামে সরকারি স্কুলের শিক্ষককে বাংলাদেশে পুশ ইন করল ভারত উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মবিরতি স্থগিত করলেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ২ জুন চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলে জোরালো পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র ‘হাসিনা যতদিন ভারতে আশ্রিত থাকবে, ততদিন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না’ জাপানে মাহাথির মোহাম্মদকে জন্ম শতবার্ষিকীর আগাম শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার ভারী বৃষ্টিপাত-ভূমিধসের ঝুঁকি, ভারতের ৩ রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি কানে লিওনার্দোর প্রশংসা পেয়েছেন উর্বশী, দাবি করে কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী মেজর সিনহা হত্যা মামলা : হাইকোর্টের রায় ২ জুন নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে পানিবন্দি ৪ শতাধিক পরিবার ঢাবিতে বামপন্থিদের উত্তপ্ত স্লোগানে শিবিরের উদ্বেগ প্রধান উপদেষ্টা ফিরলে ভালো খবর পাওয়ার আশায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা জামায়াত-শিবিরের ‘মুনাফেকি চরিত্র’ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে: যুবদল সভাপতি আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী নেবে জাপান ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ইলন মাস্কের ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে ফের ইসরায়েলি হামলা পরমাণু আলোচনার মাঝে ইরানে হামলা করা ঠিক হবে না: ট্রাম্প নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ‘গভীর নিম্নচাপে’; এমন বৃষ্টি ঝরতে পারে দু’দিন

চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন-  সারজিস আলম 

  • আপলোড সময় : ০৪-০১-২০২৫ ১২:০৩:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০১-২০২৫ ১২:০৩:৫২ অপরাহ্ন
চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন-  সারজিস আলম 
৪৩তম বিসিএসের পুনরায় ভ্যারিফিকেশন হয়েছে। এতে মোট ২৬৭ জন বাদ পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।তিনি লেখেন, ৪৩তম বিসিএসের পুনরায় ভ্যারিফিকেশন হয়েছে। ১৬৮ জনকে এ ধাপে বাদ দেওয়া হয়েছে। ১ম ও ২য় ভ্যারিফিকেশন মিলে মোট বাদ পড়েছে ২৬৭জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার নেগেটিভ রিপোর্ট। অর্থাৎ পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু এখানে অনেকগুলো প্রশ্ন আছে, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগ পরিবার ব্যতীত অন্য পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা যে কারও জন্য এই প্রথম শ্রেণির সরকারি ভালো চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় ছিল। একই ধরনের একটি চিত্র যদি এখন দেখা যায় তাহলে পার্থক্যটা কোথায়?

যে চাকরিপ্রার্থী সে যদি নিজ যোগ্যতায় প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পাস করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয় এবং তার যদি আগে কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে তার বাবা, চাচা, মামা, নানার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে কেন? আমি কি করবো সেটা কি আমার চাচা নির্ধারণ করতে পারে? কিংবা আমার চাচা কি করবে সেটা কি আমি নির্ধারণ করতে পারি?একটা সময় পরে সবাইকে ব্যক্তিগত জীবন গোছাতে হয়। ইভেন আমার বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনার মিল নাও থাকতে পারে। তাহলে পরিবারের কোনো একজন সদস্যের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে অন্য একজন সদস্যকে বঞ্চিত করার অধিকার রাষ্ট্র পায় কি না?সবচেয়ে বাজে ব্যাপার এবার হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার অনেকে গিয়ে এবার ইউনিয়ন আর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারির কাছে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা জানতে চেয়েছে !তার মানে সারাজীবন অধ্যবসায় করা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট এক মেধাবী তরুণ প্রায় তিন বছর দিনরাত এক করে পড়াশোনা করার পর প্রিলি রিটেইন ভাইভা পাস করে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর কোনো এক ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারির মতামতের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে? সে তার কর্ম নির্ধারণ করবে?

তাহলে এত আয়োজনের কি দরকার ছিল? এই ভ্যারিফিকেশন তো তাহলে প্রিলির আগে হয়ে যাওয়া উচিত। তাহলে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট হতো না।আর কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে সে এই মতামত দেয়? স্থানীয়ভাবে এমনিতেই নেতিবাচক একটা পলিটিক্স দেখা যায়, কে কারে ল্যাং মেরে উঠতে পারে ! যদি একজন চাকরপ্রত্যাশী এমন স্থানীয় পলিটিক্সের স্বীকার হয় তাহলে সে দায় সরকার নিবে কি না?আমার অমর একুশে হলের জাকারিয়া ভাই এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিল। কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি! ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট, এমএস এ সিজিপিএ চার আউট অব চার ! ১ম ভ্যারিফিকেশন উতরে গেলেও রি-ভ্যারিফিকেশনে বাদ দেওয়া হয়! যারা উনাকে চেনেন তাদের সবার আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা! আমি ভেবেছিলাম আওয়ামী আমলে উনাকে আটকানো হতে পারে! কারণ উনার দাঁড়ি আছে, নুরানী চেহারা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। জামায়াত-শিবির ট্যাগ দেওয়া সহজ। কিন্তু উনাকে আটকানো হলো এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে! কিন্তু এখন তো নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া নতুন করে সেট হওয়ার কথা ছিল!

পরে দেখলাম যারা বাদ পড়েছে তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু এই ভ্যারিফিকেশন খেলা কেন? এখানে অনেকেই আছে যারা আগের চাকরি ছেড়ে এসেছে, অনেকের ছিল জীবনের শেষ চাকরির পরীক্ষা, অনেকের সামনের জীবন নির্ভর করছে এই চাকরির ওপর।সেখানে যদি এমন রিয়েলিটি সেট করা হয় তবে যে প্রজন্ম আগামীর চাকরিপ্রার্থী তারা আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে না, দোদুল্যমান অবস্থায় না থেকে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। অলরেডি এটা নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। যেটা কখনোই কাম্য নয়।চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, যদি আগে ক্ষমতার অপব্যবহার, অন্যায়, অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে নাগরিক হিসেবে সরকারি চাকরি পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। কোনো অহেতুক এক্সকিউজে যেটা ক্ষুণ্ন করা কখনোই ভালো বার্তা বহন করে না।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মাহবুবুল খালিদের কথা ও সুরে বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে ‘মাগুরার ফুল’ মুক্তি পেলো

মাহবুবুল খালিদের কথা ও সুরে বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে ‘মাগুরার ফুল’ মুক্তি পেলো