মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের ফলে ২০২৪ সালের শেষে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১৫ লাখ বেশি। জাতিসংঘ শুক্রবার উদ্বেগজনক এ তথ্য জানিয়েছে এবং বলেছে, মিয়ানমারের মানবিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। ২০২৪ সালে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে, যার ফলে সংঘাত দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে নিরাপত্তার জন্য এবং মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়, যার মধ্যে একটি বড় অংশ শিশু।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের ৩৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশ। এই বাস্তুচ্যুতির মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু।
এছাড়া, জাতিসংঘ ২০২৫ সালে পরিস্থিতির আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সংঘাত, দুর্ভিক্ষ, মহামারি এবং অর্থনৈতিক পতনের কারণে মিয়ানমারে অভূতপূর্ব মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মিয়ানমারের ১ কোটি ৯৯ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।
Mytv Online