ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র প্রকাশ ট্রাম্পের ডিসেম্বর মাসের সেরার মনোনয়নে কামিন্স-বুমরাহ’র সঙ্গে প্রোটিয়া তারকা ফেসবুকে থাকছে না আর ফ্যাক্ট চেকা হাসিনার ভারতীয় ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি জনগণ ভালোভাবে নেয়নি: রিজভী ইনজুরি শঙ্কা তবুও একটানা খেলতে চান নাহিদ রানা সৌদি আরবে গোল করেই চলেছেন বেনজেমা বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে মিললো ২ ব্যক্তির মরদেহ মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি শিল্পে কর বাড়াল সরকার, বাড়তে পারে দাম এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে আবার জুটির ইঙ্গিত নেইমারের আতঙ্কের আরেক নাম উত্তর কোরিয়ার নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পঞ্চগড়ে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার ব্যাংকে ডলারের সংকট নেই : বাণিজ্য উপদেষ্টা বডি শেমিং নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন দীঘি ৩২ বছর গোসল করেননি, যে সাধু ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫ কিলোমিটার দখলে নিয়েছে বাংলাদেশ? যা বলছে বিএসএফ গাজাজুড়ে লাগাতার ইসরায়েলি হামলা, ৫ শিশুসহ নিহত আরও ৪৯ ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, জরুরি অবস্থা জারি অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৩ দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষা শেষে দেখা হবে মা-ছেলের

৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল

  • আপলোড সময় : ০৫-০১-২০২৫ ০৬:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০১-২০২৫ ০৬:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন
৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল
১৯৬৫ সালে সিরিয়ায় ইসরায়েলের গুপ্তচর এলি কোহেনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এখন, বহু বছর পর, মোসাদ কোহেনের দেহাবশেষ উদ্ধার করার জন্য নতুন আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল। কোহেনের গুপ্তচরবৃত্তি ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জনে সহায়ক ছিল, তবে তাঁর দেহাবশেষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এলি কোহেন ১৯২৪ সালে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি ইসরায়েলে চলে যান এবং ১৯৫৭ সালে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে, মোসাদ তাঁকে সিরিয়ার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে পাঠায় এবং তিনি কামেল আমিন থাবেত নামে সিরীয় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে আর্জেন্টিনা ও সিরিয়া যান। সেখানে তিনি সিরিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন, বিশেষ করে সিরিয়ার গোলান মালভূমির সামরিক ঘাঁটি সম্পর্কে।

তবে ১৯৬৫ সালে সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কোহেনের গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম ধরতে সক্ষম হয়। ২৪ জানুয়ারি সিরীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৮ মে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়। এর পর থেকে ইসরায়েল তাঁর মরদেহ ফেরত চেয়ে আসছে, কিন্তু সিরিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে মোসাদ কোহেনের হাতঘড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বর্তমানে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন এবং দেশটির কিছু অংশে অস্থিরতার কারণে ইসরায়েল নতুন করে কোহেনের দেহাবশেষ উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আলোচনা রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাবেক সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে হচ্ছে এবং মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।

এলি কোহেনের জীবন ও গুপ্তচরবৃত্তি এখনও গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর কাজ ইসরায়েলের সামরিক কৌশলে বড় ভূমিকা রেখেছিল, কিন্তু যদি মরদেহ উদ্ধার করা না যায়, তবে তা ইতিহাসের এক অসমাপ্ত অধ্যায় হিসেবেই রয়ে যাবে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র প্রকাশ ট্রাম্পের

কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র প্রকাশ ট্রাম্পের