ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা শাকিব খানের সঙ্গে ছবি তুলে মিষ্টি জান্নাতের ‘স্টান্টবাজি’ যে ‘জাদু’তে মোহাম্মদপুরের যানজট উধাও তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম বহালের নির্দেশনা দিনমজুর ভাড়া করে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের মিছিল, কোদাল-ঝুড়িসহ আটক ১০ কমলো এলপি গ্যাসের দাম জার্মানির হাসপাতালে আগুনে মৃত্যু ৩, আহত ৩৫ এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ক্লাসেন সিঙ্গাপুরের বৈঠকেও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তানের জেনারেলরা, পরোক্ষ হুঁশিয়ারি চলছে হজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, সৌদি পৌঁছেছেন ১৩ লাখ মুসল্লি অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন নায়ক বাপ্পী বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে দুঃসংবাদ বাজেট আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল: আমীর খসরু দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হবে: অর্থ উপদেষ্টা ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গ্রেটা থুনবার্গ এখন সমুদ্রপথে রয়েছেন নতুন বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ছে, নাকি কমছে! যা জানা গেলো এবার ইউক্রেনীয় ড্রোনের বিশাল বহর আকাশেই গুঁড়িয়ে দিলো রাশিয়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন জোলির সঙ্গে বিচ্ছেদ, ৮ বছর পর নীরবতা ভাঙলেন ব্র্যাড পিট প্রধান উপদেষ্টার কাছে নতুন ছয় নোটের ছবি হস্তান্তর

৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল

  • আপলোড সময় : ০৫-০১-২০২৫ ০৬:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০১-২০২৫ ০৬:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন
৫৯ বছর আগে মোসাদ গুপ্তচরের ‘ফাঁসি’, দেহাবশেষ চাইছে ইসরায়েল
১৯৬৫ সালে সিরিয়ায় ইসরায়েলের গুপ্তচর এলি কোহেনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এখন, বহু বছর পর, মোসাদ কোহেনের দেহাবশেষ উদ্ধার করার জন্য নতুন আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল। কোহেনের গুপ্তচরবৃত্তি ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জনে সহায়ক ছিল, তবে তাঁর দেহাবশেষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এলি কোহেন ১৯২৪ সালে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি ইসরায়েলে চলে যান এবং ১৯৫৭ সালে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে, মোসাদ তাঁকে সিরিয়ার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে পাঠায় এবং তিনি কামেল আমিন থাবেত নামে সিরীয় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে আর্জেন্টিনা ও সিরিয়া যান। সেখানে তিনি সিরিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন, বিশেষ করে সিরিয়ার গোলান মালভূমির সামরিক ঘাঁটি সম্পর্কে।

তবে ১৯৬৫ সালে সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কোহেনের গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম ধরতে সক্ষম হয়। ২৪ জানুয়ারি সিরীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৮ মে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়। এর পর থেকে ইসরায়েল তাঁর মরদেহ ফেরত চেয়ে আসছে, কিন্তু সিরিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে মোসাদ কোহেনের হাতঘড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বর্তমানে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন এবং দেশটির কিছু অংশে অস্থিরতার কারণে ইসরায়েল নতুন করে কোহেনের দেহাবশেষ উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আলোচনা রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাবেক সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে হচ্ছে এবং মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।

এলি কোহেনের জীবন ও গুপ্তচরবৃত্তি এখনও গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর কাজ ইসরায়েলের সামরিক কৌশলে বড় ভূমিকা রেখেছিল, কিন্তু যদি মরদেহ উদ্ধার করা না যায়, তবে তা ইতিহাসের এক অসমাপ্ত অধ্যায় হিসেবেই রয়ে যাবে।

কমেন্ট বক্স
জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা