জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন কঠিন হবে এবং অবাস্তব। সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি আরও বলেন, ভোটার আইডি সংশোধনে বিগত দিনে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে, তবে নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করাই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের চিন্তা বিভিন্ন মহল থেকে উঠে এসেছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, এক দিনে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে খরচ এবং সময় উভয়ই কমানো সম্ভব। তার মতে, আইন পরিবর্তন করে একসঙ্গে নির্বাচন আয়োজন করলে খরচ প্রায় ৫০০-৬০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা যাবে এবং সময় লাগবে মাত্র ৪০ দিন।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং ১৯ লাখ লোক নিয়োগ দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইইউ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলাদা মতামত উঠে আসছে। যেখানে একদিকে ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের জন্য একই দিনে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব রয়েছে, অন্যদিকে এটি বাস্তবায়নে প্রশাসনিক এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতা থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার।