পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানরা আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
এবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এ আসনে সরাসরি ভোট হবে। কমিশন বলছে, তিন শ আসনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে এক শ আসন নির্ধারণ করা হবে, যেখানে কেবল নারীরা প্রার্থী হতে পারবেন। পরবর্তী দুই সংসদে বাকি দুই শ আসনে নারী ভোট হবে। এই পদ্ধতিকে "ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি" বলা হচ্ছে।
বাহাত্তরের সংবিধানে তিন শ আসনে সংসদ নির্বাচনের বিধান ছিল এবং ১০ বছরের জন্য সংরক্ষিত নারী আসন রাখা হয় ১৫টি। পরে তা বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। তিন শ আসনের অনুপাতে দলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে নারী আসন বণ্টন করা হলেও তা নারী ক্ষমতায়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, "দলীয় সমঝোতায় নারী এমপি হওয়ার কারণে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়নি। এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়িত হবে।"
সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম জানান, "সংরক্ষিত নারীদের জন্য ১০০ আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তিনটি সংসদ নির্বাচনে সরাসরি ভোট নিশ্চিত করা হবে।"
কমিশন বলছে, জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নারীরা নির্বাচিত হবেন। অতীতে দলীয় সমঝোতায় পরাজিত নারীরাও এমপি হয়েছেন। এবার সে সুযোগ থাকছে না।