সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসের মদদদাতার তালিকা থেকে কিউবাকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বন্দিমুক্তি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবার ওপর থেকে এই তকমা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে শিথিল করা হবে কিউবার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাইডেন প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়। তার পরপরই ৫৫৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে কিউবা, যারা দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আটক হয়েছিল। জানা গেছে, ক্যাথলিক চার্চের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার সম্পর্ক শীতল হতে থাকে এবং প্রায় পাঁচ দশক ধরে কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এই সময়টাতে ওয়াশিংটনে কিউবার এবং হাভানায় যুক্তরাষ্ট্রের কোন দূতাবাস ছিল না। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে কিউবাকে সন্ত্রাসবাদে মদদদাতার তালিকা থেকে বাদ দেন। তবে, ২০২১ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কিউবাকে আবারো ওই তালিকায় যুক্ত করেন। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বৈদেশিক নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এটি কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।