আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা সম্প্রতি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সামনে ‘হাঁটু গেড়ে’ বসে তার হাতে কিছু একটা তুলে দেন। যা নিয়ে নেটমাধ্যমে রীতিমত হইচই শুরু হয়েছে।তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর তরফে জানা গেছে, ইদি রামা মেলোনির ৪৮তম জন্মদিনে একটি বিশেষ উপহার দিয়ে তাকে সম্মান জানান। রয়টার্স জানিয়েছে, আলবেনীয় প্রধানমন্ত্রী বুধবার আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফিউচার এনার্জি সামিটে মেলোনিকে একটি সুন্দর স্কার্ফ উপহার দেন। এ সময় জন্মদিনের গান ‘তান্তি অউগুরি’ গেয়ে তিনি হাঁটু গেড়ে বসে তাকে ওই উপহারটি দেন।উপহারটি আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, কারণ খুবই হালকা ওই স্কার্ফটি এক ইতালীয় ডিজাইনার তৈরি করেছিলেন। যিনি কিনা আলবেনিয়ায় বসবাস করেন। এটি মূলত দু’দেশের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আবুধাবি সফরের সময় আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসেন, তাকে একটি স্কার্ফ উপহার দেন এবং ‘ইউর ম্যাজেস্টি’ বলে সম্বোধন করেন। এমনকি তিনি স্কার্ফটি মেলোনির মাথায় হিজাবের মতো করে রাখার চেষ্টাও করেন।যদিও তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন। মেলোনি মূলত ডানপন্থি ব্রাদার্স অব ইতালি দলের নেতৃত্ব দেন এবং রামা আলবেনিয়ার সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান। তবুও দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত বছর মেলোনি এবং রামা একটি চুক্তি করেছিলেন, যেখানে ইতালীয় সাগরে উদ্ধার করা কিছু অভিবাসীকে আলবেনিয়ার আটক কেন্দ্রগুলোতে স্থানান্তর করার কথা বলা হয়। যদিও আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে এই কেন্দ্রগুলো বর্তমানে কার্যকর নয়। এই চুক্তি দুই নেতার সহযোগিতার ইচ্ছাই প্রকাশ করে।
ওয়ার্ল্ড ফিউচার এনার্জি সামিট আবুধাবিতে রামা এবং মেলোনির সাক্ষাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করে। এ সম্মেলনে ইতালি, আলবেনিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মাধ্যমে ১ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। এটি একটি সাগরতলীয় সংযোগ তৈরি করবে, যা এড্রিয়াটিক সাগরের মাধ্যমে নবায়ণযোগ্য শক্তি সরবরাহ করবে। এই প্রকল্পটি এ অঞ্চলের টেকসই শক্তি সমাধান প্রচারে এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।দুই নেতা একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় তাদের সহযোগিতা অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া বাড়াবে।